১/মহিলাগণের জন্য মাজার জিয়ারত করিতে যাওয়া নাজায়েজ।
২/কিছু আলিম কবর চুম্মন জায়েজ বলিয়াছেন কিন্তু সহীহ মতে উহা নিষেধ।
৩/সম্মানের জন্য কবরে সিজদা করা হারাম।
৪/যদি ইবাদতের উদ্দেশে সিজদা করে তাহা হইলে মুশরিক ও কাফীর হইয়া যাইবে।
৫/অনেকেই মাজারে সেজদার ন্যায় মাথা নত করে,কবরে উপরে উপুড় হইয়া পড়িয়া থাকে,চাদরের নিচে মাথা প্রবেশ করাইয়া দেয়,এবং মাজারে নাক কিংবা পেশানী মর্দন করিতে থাকে ইত্যাদি জায়েজ নয়।
জিয়ারত করিবার সঠিক নিয়ম:-
* কবরের পায়ের দিকে উপস্থিত হইয়া মুখের সামনে দাঁড়াইয়া—
“আসসালামু আলাইকুম আহলা দারে কওমিম মুমিনীনা আনতুম লানা সালাফুন অ ইন্না ইনশাল্লাহু বিকুম লাহিকুনা নাস্ আলুল্লাহা লানা অলা কুমুল আফওয়া অল আফিআতা ইয়ার হামুল্লাহুল মুসতাকদিমিনা মিন্না অল মুস্তাখিরীনা আল্লাহুমা রাব্বাল আরওয়াহিল ফানিয়াতি অল আজসাদিল বালিয়াতি অল ইজা
মিন্নাখিরাতি আদখিল হাজিল কুবুরা মিনকা রাওহাঁউ অরাইহানাঁও অ মিন্না তাহিয়াতাউঁ অ সালামান”বলিবে।
তার পর ফাতেহা পাঠ করিবে যদি বসিতে ইচ্ছা হয় তাহা হইলে তাহার দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় যত দুরে বসা হইত সেই প্রকার দুরে বসিবে।(বাহারে শরীয়াত)
পেশানী মাটিতে রাখাকেই সেজদা বলা হইয়া থাকে। উহা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাহারো জন্য হালাল হইবেনা।
কোন বুজুর্গকে জিন্দা অথবা ইন্তেকালের পর সেজদা করা হারাম।
আদবের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া কমপক্ষে চার হাত দুরে দাঁড়াইয়া
ফাতেহা পাঠ করা উত্তম।
বিঃদ্রঃ- বাজনার সহিদ কাওলি হারাম। মাজারে হউক চাই অন্য জাইগায় কোন মাজারে শরীয়াতের বিপরীত কাজ হইলে তাহা বন্ধ করিতে হইবে।
জিয়ারত বন্ধ করিবে না।
(ফাতাওয়া রেজবীয়া)