★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
জুম্মাদিনের ফজিলত কি?জুম্মাদিন কেনো শ্রেষ্ঠ দিন বলে সপ্তাহের??আসুন আমরা জানি - Ibadat amal Discussions on

জুম্মাদিনের ফজিলত কি?জুম্মাদিন কেনো শ্রেষ্ঠ দিন বলে সপ্তাহের??আসুন আমরা জানি

edited October 2016 in Ibadat amal

পবিত্র জুম’আর দিনের বিস্তারিত ফজীলত এবং নির্দেশনা
******কোরআন ও হাদিসের আলোকে*******- ●●●● পবিত্র জুম’ আর দিনের বিস্তারিত ফজীলত এবং নির্দেশনা●●●●  
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم -
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ﷺ

●●আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “মুমিনগণ,জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর।এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।”-[আল কুরআন;সূরা আল জুমুআহ;০৯]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “মুমিনের জন্য জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।”-[ইবনে মাজাহ শরিফ;১০৯৮]

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “মহান আল্লাহ পাকের কাছে জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের মত শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।”-[ইবনে মাজাহ শরিফ ;১০৮৪]  

●●“জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।”-[মুসনাদে আহমদ শরিফ-৩/৪৩০;ইবনে মাজাহ শরিফ-১০৮৪]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “হে মুসলমানগণ, জুম‘আর দিনকে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন (جَعَلَهُ اللهُ عِيْدًا)। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও।”-[মুওয়াত্তা, ইবনু মাজাহ শরিফ, মিশকাত শরিফ; হাদিস নং-১৩৯৮, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘পরিচ্ছন্নতাঅর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন’ অনুচ্ছেদ-৪৪]

●●উমার ইবনুল খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত: এক ইয়াহুদি তাঁকে বলল ,’হে আমিরুল মু’মিনীন ! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে, যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহুদি জাতির উপর অবতীর্ণ হতো, তবে অবশ্যই আমরা সেই দিনকে ঈদ হিসাবে পালন করতাম’, তিনি বললেন, ‘কোন আয়াত’? সে বলল,“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ পছন্দ করলাম।” – [ সূরা মায়েদা; ৩ ]; উমার (رضي الله عنه) বললেন, “এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমরা জানি; তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন আর সেটা ছিল জুমুআ’র দিন।”-[সহীহ বুখারী শরিফ;হাদিস নং – ৪৩, ৪৪০৭, ৪৬০৬, ৭২৬৮; সহীহ মুসলিম শরিফ ৪৩/১ ,হাদিস নং – ৩০১৭]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সূর্য উদিত হয় এরুপ দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিনটিই হল সর্বোত্তম। (১)এই দিনেই আদম (আলাইহিসালাম ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল – [ আবু দাউদ শরিফ– ১০৪৬ ],
(২)এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং
(৩)এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল – [মুসলিম শরিফ;জুম’আর নামাজ পর্ব ], (৪)এই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল,
(৫)এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল এবং (৬)এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল – [ আবু দাউদ শরিফ– ১০৪৬ ],
(৭)এই দিনেই শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে – [ আবু দাউদ শরিফ – ১০৪৭ ],
(৮)এই দিনেই কিয়ামত হবে – [ আবু দাউদ শরিফ– ১০৪৬ ],
(৯)এই দিনেই সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে – [ আবু দাউদ শরিফ– ১০৪৭ ],
(১০)নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগন,আকাশ,পৃথিবী,বাতাস,পর্বত ও সমুদ্র সবই জুম’আর দিনে শংকিত হয়। – [ ইবনে মাজাহ শরিফ – ১০৮৪; মুয়াত্তা ইমাম মালেক ]।

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
“এইদিন (জুম’আর দিন) নিকটবর্তী ফেরেশতাগণ, আকাশ, পৃথিবী, বায়ু, পাহাড়, সমুদ্র সবই ক্বিয়ামত হবার ভয়ে ভীত থাকে।”-[ইবনু মাজাহ শরিফ,মিশকাত শরিফ;১৩৬৩ ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ-৪২]

●●“উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুম’আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল।”-[বুখারী শরিফ – ৮৭৬, ইফা – ৮৩২, মুসলিম শরিফ  – ৮৫৫]

●●“জান্নাতে প্রতি জুম’আর দিনে জান্নাতীদের হাট বসবে। জান্নাতী লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতীদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে।”-[মুসলিম শরিফ;২৮৩৩, ৭১/৭৫৩]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “জুম’আর রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায়; আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দিবেন।”-[তিরমিযী শরিফ ;১০৭৮]  

●●“যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে।”-[মুসলিম শরিফ]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সূরা আল-কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য মহান আল্লাহ্ দুই জুম’আর মাঝে নূর আলোকিত করবেন।”-[ইমাম নাসাঈ শরিফ ও বায়হাকী শরিফ হাদিসটি বর্ণনা করেন ।]  

●●আমিরুল মুমিমীন ওমর (رضي الله عنه) এর ছেলে বিশিষ্ট সাহাবা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, “যে ব্যক্তি জুমু’আর নামাজে উপস্থিত হবে সে যেন গোসল করে নেয়।”-[সুনানে তিরমিযী শরিফ-৪৯২]

.●●“জুম’আর দিন গোসল করা। যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওয়াজিব করেছেন।”-[বুখারী শরিফ-৮৭৭]  

●●আবূহুরায়রা আব্দুর রহ্মান ইবন সখর  رضي الله عنهবর্ণনা করেছেনঃ “জুমু’আর দিন উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিচ্ছিলেন আর তখন উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মসজিদে প্রবেশ করলেন। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “কেন কিছু লোকেরা আযান হয়ে যাওয়ার পরে মসজিদে আসে?” উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তখন বললেন, “আমীর আল-মু’মিনীন! আমি আজ়ান শোনামাত্র উজ়ু করে (মসজিদে) এসেছি।” উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, “শুধু উজ়ু? তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শোননি ‘তোমাদের কেউ যখন জুমু’আর জন্য আসে সে যেন গোসল করে আসে’?” – [হাদীসটি ইমাম বুখারী ও মুসলিম শরিফ উভয়েই সংকলন করেছেন। এখানে উদ্ধৃত করা হয়েছে ইমাম আল-মুনযিরীর “মুখতাসার সহীহ মুসলিম” নামক সংকলনের ইংরেজী ভার্সন থেকে। হাদীস নং;৪০৪]  

●●আবু উমামা (رضي الله عنه) হতে বর্নিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “জুমু’আর দিনে গোসল করলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা পাপও দূর হয়ে যায়।”-[তিরবানী, মাজমাউজ জাওয়ায়েদ]  

●●জুম’আর দিনেঃ “মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া (ধুমপান না করা)।”-[বুখারী শরিফ;৮৫৩]  

●●জুম’আর দিনেঃ “মিস্ওয়াক করা।”-[বুখারী শরিফ;৮৮৭,ইফা;৮৪৩,ইবনে মাজাহ শরিফ;১০৯৮]

●●জুম’আর দিনেঃ “গায়ে তেল ব্যবহার করা।”-[বুখারী শরিফ;৮৮৩]  

●●জুম’আর দিনেঃ “জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।”-[বুখারী শরিফ;৮৮০]  

●●আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও,”-[আল কুরআনঃ সূরা আল আ’রাফ;আয়াত নং-৩১]  

●●জুম’আর দিনেঃ “উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা।”-[বুখারী শরিফ, মুসলিম শরিফ, আহমাদ, ইবনে মাজাহ শরিফ; ১০৯৭]  

●●জুম’আর দিনেঃ “মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া।”-[বুখারী শরিফ;৯১০,৮৮৩]  

●●জুম’আর দিনেঃ “কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা।”-[বুখারী শরিফ;৯১১,মুসলিম শরিফ;২১৭৭,২১৭৮]
.
●●হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবি মারয়াম(رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন পায়ে হেঁটে জুম’আর জন্য যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সাথে আবায়া ইবনে রিফায়া (رضي الله عنه) এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর! তোমার এই পদচারণা আল্লাহর পথেই। আমি আবু আবস (رضي الله عنه) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তির পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধূলিময় হলো, তার পদদ্বয় জাহান্নামের জন্য হারাম করা হলো।”-[জামে তিরমিযি শরিফ,হাদিস নং-১৬৩৮, সহীহ বুখারী শরিফ, হাদিস নং-৯০৭]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যাক্তি জুমু’আর দিন ভাল মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়,সে যেন একটি উট কুরবানী করল,দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল,তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল।আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল।অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য,তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।”-[বুখারী শরিফ;৮৮১]  

●●আবু হুরায়রা رضي الله عنهথেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “জুমু’আর দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশ্তাগন অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। তারপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। তারপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন (খুতবার জন্য) ফেরেশ্তাগন তাঁদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শোন্তে থাকেন।”-[বুখারী শরিফ;২য় খন্ড,৮৮২]

●●জুম’আর দিনেঃ “খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা।”-[বুখারী;৯৩০]  

●●জুম’আর দিনেঃ “খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার মার্জিত ভাবে সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ।”-[বুখারী শরিফ;১০২৯]  

●●হযরত আবু হুরাইরা رضي الله عنه হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন , “যে ব্যক্তি গোসল করে জুমু’আর উদ্দেশ্যে আসে এবং যে পরিমাণ নফল নামায পড়ার তাওফীক হয় তা পড়ে, এরপর ইমামের খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে এবং ইমামের সঙ্গে নামায আদায় করে, আল্লাহ তা’আলা তার দশ দিনের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেন।”-[সহীহ মুসলিম শরিফ;১/২৮৩]  

●●আবু হুরায়রা رضي الله عنه হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করার পর জুমু’আর নামাযে এলো, নীরবে মনযোগ সহকারে খুত্বা (আলোচনা) শুনলো, তার পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) একটি কঙ্কর(পাথর) স্পর্শ করলো সে অনর্থক কাজ করলো।”-[মুসলিম শরিফ;৩য় খন্ড – ১৮৬৫]

●●হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “ইমামের খুত্বা দেয়ার সময় যদি তুমি কাউকে চুপ থাকতেও বল তবে তুমি বেহুদা কাজ করলে।”-[বুখারী শরিফ; ২য় খন্ড – ৮৮৭, মুসলিম শরিফ, নাসাঈ শরিফ, আবু দাউদ শরিফ ; ২য় খন্ড – ১১১২]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা আল্লাহর মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে কিছু দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তাদের দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” – [আবু দাউদ শরিফ]  

●●“যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযূ করে জুম’আর নামাজে এসে চুপ থেকে মনোযোগ সহকারে খুতবা শ্রবণ করে নামাজ আদায় করে,আল্লাহ তাআলা দুই জুম’আর মধ্যবর্তি সময় ও অতিরিক্ত আরো তিন দিনের ছোট পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেবেন।”-[মুসলিম শরিফ]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে রওনা হয় এবং ইমামের অতি নিকটে বসে চুপচাপ খুতবা শোনে,সে প্রতি পদক্ষেপে এক বছর রোযা রাখার এবং এক বছর রাতে কিয়াম করার নেকী পায়। আর এটা আল্লাহর জন্য বড় সহজ ব্যাপার।”-[আহমদ;নাসায়ী শরিফ;তিরিমিযি শরিফ (সহিহ)]  

●●“কোন ব্যক্তি জুম‘আর দিন গোসল করল, ওযূ করে মসজিদে গেল এবং খুৎবা শুনল। তার প্রতি কদমে এক বছরের নফল ছালাত ও ছিয়ামের সমান নেকী হয়।”-[আবুদাঊদ শরিফ ;৩৭৩,মিশকাত শরিফ ;১৩৮৮]
.
●●“খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। কোনো ব্যাক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হয়, কিন্তু, ইচ্ছা করে জুমুয়ার নামাজে ইমাম থেকে দূরে বসে, তবে সে বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”-[আবু দাউদ শরিফ -১১০৮]  

●●জুম’আর দিনেঃ “জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা।”-[বুখারী শরিফ;১৮২,মুসলিম শরিফ;৮৮১,আবু দাউদ শরিফ;১১৩০]  

●●জুম’আর দিনেঃ “যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা।”-[মুসলিম শরিফ;৭১০,বুখারী শরিফ;৮৪৮]  

●●আবু হুরায়রাرضي الله عنه হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার জুমার দিনের কথা আলোচনা করে বলেন , “এদিনে এমন একটি মূহূর্ত আছে যখন নামাজী বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চায় আল্লাহ তাকে তা দেন।”-[বুখারী ও মুসলিম শরিফ]  

●●আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা জুমু’আর দিন সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, “ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যে কোন মুসলিম যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায পড়া অবস্থায় আল্লাহ্র কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ্ তাকে তা দান করে থাকেন। এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবুই সংক্ষিপ্ত।”-[বুখারী শরিফ-৯৩৫,৫২৯৫,৬৪০০; মুসলিম শরিফ-৮৫২; তিরমিজী শরিফ-৪৯১; নাসায়ী শরিফ-১৪৩০,১৪৩২; আবূ দাউদ শরিফ-১০৪]
.
●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে,যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়,তা-ই তাকে দেওয়া হয়।আর এ সময়টি হল জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত,একটি সময়।”-[বুখারী শরিফ;৯৩৫]  

●●“জুমার দিনে বারোটি প্রহর তথা সময় রয়েছে। এ সময়ে কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা জুমার দিনের শেষ প্রহর তথা আছরের শেষ সময়ে এ প্রহরটিকে অনুসন্ধান করো।”-[আবূ দাউদ শরিফ ]  

●●আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “এবং যখন আমার বান্দাগণ আমার সম্মন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে,তখন তাদেরকে বলে দাওঃ আমি অবশ্যই তাদের সন্নিকটবর্তী,কোন আহ্বানকারী যখনই আমাকে আহ্বান করে তখনই আমি তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে থাকি,সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমাকে বিশ্বাস করে,তাহলেই তারা সঠিক পথে চলতে পারবে।”-[সূরা আল-বাক্বারা; আয়াত-১৮৬ এর বাংলা অনুবাদ]  

●●জুম’আর দিনেঃ “এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।”-[বুখারী শরিফ;৯৩৫]  ●●“জুমুআ’র দিনে রাসূল (ﷺ) এর প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করার জন্য আমাদের সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”-[নাসাঈ শরিফ;১৩৭৭]  

●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ্ তা’আলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ্ মিটিয়ে দেয়া হবে এবং তার দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে।”-[নাসাঈ শরিফ;১৩০০]
.
●●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে এই দরূদ পড়তে শিখিয়েছেন......এটি দরুদে ইব্রাহীম যার অধিক ফযিলত আলোচিত হয়েছে হাদিসে পাকের মধ্যে......  “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।” এছাড়া ও  অন্য দরুদ শরিফ পাঠ করবেন।  

●●আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “জুমুআর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও রিজিক খুঁজতে থাক এবং আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ কর,যাতে তোমরা সফলকাম হও।”-[আল কুরআনঃ সূরা আল জুমুআহ-১০]  

●●আবূ হুরাইরা ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত,তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে তাঁর কাঠের মিম্বরের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় এ কথা বলতে শুনেছেন যে, “লোকেরা যেন জুমুআহ ত্যাগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকে;নচেৎ আল্লাহ্ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেবেন,তারপর তারা অবশ্যই উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।”-[মুসলিম শরিফ; ৮৬৫, নাসায়ী শরিফ; ১৩৭০, ইবনু মাজাহ শরিফ; ৭৯৪,১১২৭, আহমাদ শরিফ; ২১৩৩, ২২৯০, ৩০৮৯, ৫৫৩৫, দারেমী শরিফ; ১৫৭০]
..
জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য : ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা- হজরত আদম (আলাইহিসালাম) এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে। জুমার দিনকে আল্লাহ্পাক সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী এই বরকতময় দিনটি আল্লাহ্পাক বিশেষভাবে উম্মতে মুহাম্মদিকে (ﷺ.) দান করেছেন।
নবি করিম (.ﷺ) ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম (আআলাইহিসালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ)
.
জুমার সমগ্র দিনটিই অপেক্ষার : হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ্পাক জুমা দিবসের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত লুকিয়ে রেখেছেন, যে সময়টাতে দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। আল্লাহ্ রাসূল (ﷺ.) বলেন, জুমার সমগ্র দিবসটির মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত লুকিয়ে আছে যে সময়টাতে কোন বান্দা যদি নামাজরত থাকে বা- তাসবিহ্-তাহলিল কিংবা দোয়ায় মশগুল থাকে তবে আল্লাহ্পাক তাঁর আকুতি অবশ্যই কবুল করে থাকেন। এই হাদিসের মর্ম অনুযায়ী বুঝা যায় যে, জুমার দিন সবটুকুই অপেক্ষার। আল্লাহ নিকট দোয়া কবুল করানোর জন্য দিনভরই প্রস্ত্ততি থাকতে হবে।
বিশেষ সেই মূল্যবান মুহূর্তটি কখন- এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আলেমগণের বিভিন্ন মন্তব্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, ফজরের সময় থেকে সূর্যোদয় সর্যন্ত এই মুহূর্তটি রয়েছে। কারো মতে জুমার সময় শুরু থেকে খুতবা ও জুমার নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই সময়টি হতে পারে। কারো মতে জুমার দিন আসরের সময় থেকে সূর্যাস্তের সময় পর্যন্ত এই সময় হতে পারে। এই ধরনের আরও কিছু বক্তব্য পাওয়া যায়।
হাদিস শরিফে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমা তোমাদের পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। তাই এই দিনটি রোজার জন্য নির্ধারিত করা সমীচীন নয়। জুমার আগের রাত্রিটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, জুমার পূর্ববর্তী রাতে বনি আদমের সমস্ত আমল মহান আল্লাহ্র দরবারে পেশ করা হয়। (বুখারি শরিফ ও আহমদ হাদিসে)
জুমার দিনের ফজর নামজ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যারা এই নামাজের জামাতে শরীক হন আল্লাহ্পাক তাদের সকল গোনাহ্ মাফ করেন এবং অফুরন্ত নিয়ামতের ভাগী করেন। একমাত্র সম্পর্ক ছিন্নকারীদের ছাড়া। অর্থাৎ ঐ হতভাগ্যদের কোন আকুতি জুমার দিনের ফজরের শুভক্ষণেও আল্লাহ্র নিকট কবুল হয় না।(বুখারি শরিফ)
হাদিস শরিফে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, জুমার দিন ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায়কারীর মত সৌভাগ্যবান আর কেউ হতে পারে না। কারণ, বান্দা যখন এই নামাজের পর হাত তোলে মুনাজাত করে তখন মহান আল্লাহ্পাক কোন অবস্থাতেই তা ফিরিয়ে দেন না। (বাইহাকি শরিফ)
.
.
জুমার দিনে কোরান তেলাওয়াত : জুমার দিন ফজর থেকে মাগরীবের মধ্যবর্তী সময়ে পবিত্র কোরানের সূরা ইয়াছিন, সূরা হুদ, সূরা কাহাফ এবং সূরা দোখান তেলাওয়াত কর, এই সূরাগুলিতে বর্ণিত বিষয়বস্ত্ত- অনুধাবন ও চিন্তাভাবনা করার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিস শরিফের বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে। বাইহাকি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন সূরা হুদ পাঠ করো। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিশেষ নূরের বাতি জ্বালানো হবে। তিবরানি শরিফের এক বর্ণনায় রয়েছে যে, যে ব্যক্তি জুমার দিনে বা রাতে সূরা দোখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ্পাক তার জন্য জান্নাতে একটা বিশেষ মহল নির্মাণ করেন।
.

জুমার দিনে ও রাতে দরূদ শরিফ পাঠের ফজিলত :  জুমার দিনে ও রাতে বেশি করে দরূদ শরিফ পাঠ করার বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরূদ শরিফ পাঠ করো। যে ব্যক্তি এরূপ দরূদ শরিফ পাঠ করবে, হাশরের ময়দানে আমি তার জন্য আল্লাহ সামনে সাক্ষ্য প্রদান করব এবং সুপারিশ করব। (বাইহাকি শরিফ)  নবি করিম (ﷺ.) -এর সুসংবাদের ভিত্তিতেই সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আবেদ-জাহেদ বান্দাগণ জুমা দিবসে সর্বাধিক দরূদ শরিফ পড়ে আসছেন। অত্যধিক দরূদ পঠিত হয় বলেই জুমার দিনকে ইয়াওমুজ্জাহারা অর্থাৎ ফুলেল দিবস এবং জুমার রাতকে লাইলাতুজ জাহরা বা ফুলেল রজনী নামে অভিহিত করা হয়।   দুনিয়ার জীবনে হেদায়তের পথ প্রদর্শক এবং আখেরাতের চিরস্থায়ী শান্তি ও মুক্তির ঠিকানা জান্নাতের জিম্মাদার হজরত নবি করিম (ﷺ.) -এর প্রতি দরূদ শরিফ ও সালাম পেশ করতে থাকা প্রত্যেক মুমিন নর-নারীদের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়।   বিশেষ সময় ও দিনক্ষণের প্রতি লক্ষ্য রেখে দরূদ শরিফ বেশি করে পড়ার চেষ্টা করা সবারই একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য।
*******--*****-*-------
আল্লাহ্‌ পাক আমাদের সকল কে আমল করার তৌফিক দান করুক আমিন।
******&&&&&&&&*****--------
আর যেনে রাখুন যারা জুম্মা নামাজের পড় দুয়া করার শেষ তে ""লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মহম্মদুর রসুলুল্লাহ """ বলাকে বিদাত বলে নাজায়েজ প্রমান করতে চাই,,,, কবর জিয়ারত মিলাদ কেয়াম ফাতিহা ইসালে সওয়াব দরুদে ইব্রাহীম ছাড়া অন্য দরুদ পড়া যাবেনা বা অন্য দরুদ পড়লে হবে না অন্য দরুদ যেমন দরুদে তাজ ইত্যাদি পড়া জাবেনা ইত্যাদি এই সব কিছুর বিরোধী তা করে কেয়ামের জন্য ফতুয়া লাগার দরুদ পড়ার জন্য ফতুয়া দেই হাত তুলে দুয়া করার জন্য ফতুয়া দেই জানাজা নামাজের পর মাইয়াত এর জন্য দুয়া করার বিরোধীতা করে তারা প্রকাশ্য ভাবে দাড়ি টুপি পড়ে ঘুরতে পারে তারা শয়তান দ্বারা পরিচালিত হই শয়তান এর চেলা এই সমস্থ মোনাফেক দের থেকে নিজেকে বাচান ও নিজের আহালে পরিবার কে বাচান।
তালিবে দুয়া এই গুনাহগার বান্দা। 

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|