জগদ্বিখ্যাত অমুসলিম ব্যাক্তিবর্গের দৃষ্টিতে ইমাম হোসাইন
by--Md Khairul Minar qadri
ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এর শান হল এমন যে যেমন তার নানাজান হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসা গীতি গেছেন পৃথিবীর সব ধর্মের লোক ঠিক তেমনই ইমাম হোসেনের প্রশংসাগীতি উচ্চারিত হয়েছে মুসলিম-অমুসলিম সকলেরই কন্ঠে এ...!! বিষয়ে কয়েকজন জগৎ বিখ্যাত অমুসলিম উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যেতে পারে.......
★ থমাস কার্লাইল ( স্কটিস ঐতিহাসিক)ঃ---
তার লেখা বিখ্যাত ইতিহাস বই Herose and hero-worship এ লিখেছিলেন কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা থেকে আমরা সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা পাই যে হোসেন ও তাঁর সঙ্গী সাথীর স্রষ্টার প্রতি চরম বিশ্বাস। সত্য ও মিথ্যার প্রশ্নে উনারা দেখিয়ে দিলেন যে বিশাল সংখ্যা ও কোন কাজে আসে না। হোসেনের নৈতিক জয় স্বল্পসংখ্যক হওয়া সত্ত্বেও উজ্জীবিত করে।
★চার্লস ডিকেন্সঃ--যদি হোসেন তার জাগতিক তথা বৈষয়িক লিপ্সা পূরণের জন্য যুদ্ধ করতেন (যেমন কতিপয় সমালোচকের অভিযোগ) তবে কেন তিনি বোনদের স্ত্রী শিশু পুত্রকন্যাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন আমার তো বোধগম্য হচ্ছে না। ইহাতে প্রতীয়মান হয় যে তার ওই ত্যাগ ছিল শুধুমাত্র ইসলামের এই জন্যই....।।
★ঐতিহাসিক গিবনঃ---
হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যুর দৃশ্য সুদূর কালে ও পরিবেশে শীতলতম পাঠকের হৃদয়ে ও সহানুভূতির উদ্রেক করবে ।
★ব্রাউন রচিত হিস্ট্রি অফ পার্সিয়া ঃ--রক্তস্নাত স্মৃতি বিজড়িত কারবালার পানতরে আল্লাহর ধর্ম প্রচারকের দোহিত্র নিহত পরিজন ও অনুচর দের দেহ বেষ্টিত অবস্থায় পানির অভাবে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে শেষ পর্যন্ত নিহত হন। যাহা যে কোন সময়ে যে কোন অমনোযোগী ব্যক্তির মাঝে ও উন্মাদ মানসিক আবেগ ও দুঃখের উদ্রেক ঘটায় এবং তাহাদের নিজ বেদনা বিপদ ও মৃত্যুকেও তুচ্ছ গণ্য করে....!
★মহারাজা কিষেন প্রসাদঃ-- কেবলমাত্র ইসলামিক অঞ্চলেই নয় সারা বিশ্বে কারবালার হৃদয় বিদারক বিষাদের সমকক্ষ নজির খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। এই বিষাদ ইহার গুরুত্বের অদ্বিতীয়তার বিবেচনায় ইহাই ইহার একমাত্র দৃষ্টান্ত হতে পারে। ইহাই ইতিহাসের ঘটনা যা নাকি কি মানবতার খাঁটিত্বের জন্য সন্ধান নির্দেশ ও শিক্ষা হতে পারে।
★ম্যাডাম সরজনী নাইডুঃ--
ইমাম হোসেন এমন এক মহান ব্যক্তি যাকে জগতের প্রত্যেক জাতি মানে এবং সম্মান করে..!
★ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদঃ--
স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বর্ণনা করেছেন - কারবালার হৃদয় বিদারক ঐতিহাসিক আত্ম বলিদানের ঘটনার তেমন গুরুত্ব যা কখনো বিস্মত হওয়ার নয়। যুগ যুগ ধরে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নর নারীর মনের উপর প্রভাব বজায় থাকবে।
★জওহরলাল নেহরুঃ---
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু বর্ণনা করেছেন মনুষ্যজগতে কারবালার বিষাদময় দৃশ্য ইতিহাসের মহান প্রভাব বিস্তার গুলির অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
★ডক্টর কে সেলড্রেকঃ--
হোসেন অগ্রসর হয়েছিলেন অতি ক্ষুদ্র সংখ্যক সঙ্গী ও আপন পরিবার, পরিবার-পরিজনকে নিয়ে নিয়ে গৌরব অর্জন করতে নয়, ধন সম্পদ ও ক্ষমতা অর্জন করতে নয়। সর্বোচ্চ ও সুমহান নিদর্শন হিসাবে। পুরুষ ও রমণীগণ সবাই জানতেন বিশাল সেনাবাহিনী ঘিরে আছে চতুর্দিকে শুধু যুদ্ধের জন্য নহে , সমূলে নিধন করতে । শত্রু পক্ষ এক বিন্দ পানীয় দিল না। তেজোদীপ্ত মরু ভাস্করের অসহনীয় উত্তাপে তড়পাচ্ছেন, তথাপি অসীম সাহসের উপর ভর করে সকলেই দুর্বিষহ জ্বালায় অস্থির হয়ে কোন বিলাপ নেই
★স্বামী শংকরাচার্যঃ--ইমাম হোসেন এর আত্মত্যাগ এর জন্যই ইসলাম জীবিত থাকলো। ইসলামের নাম নেওয়ার কেউ থাকতো না।
★পন্ডিত রঘুনাথ প্রসাদঃ-পন্ডিত রঘুনাথ প্রসাদ বর্ণনা করেছেন হযরত ইমাম হোসেনের মহান আত্মত্যাগ ছিল বিশ্ব মানবতার জন্য । ধর্ম ,জাতি, নির্বিশেষে প্রত্যেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি হযরত ইমাম হোসেনকে সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখেন!
★মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীঃ--
আমার বিশ্বাস ইসলামের উন্নতি অনুগামীদের তালু আর এর জন্য নয় বরং হোসেন যেমন সাধকদের আত্মত্যাগের জন্য সম্ভব হয়েছে...।
ইমাম অালি মাকাম ইমাম হুসাইন অালাইহিস সালাম ঐ অাজিম যাঁর সত্যবাদীতা,নির্ভীকতা ও সাহসিকতার কাছে সকলেই বশ্যতা স্বীকার করেছেন.. এ ব্যাপারে কোনো একজন কবি খুব সুন্দর বলেছেন-- "দুনিয়া কো বেদার তো হো লেনে দো ফির হার শ্বাস এ কাহেগা কে হামারে হে ইয়া হুসাইন----- জগতবাসী কে সচেতন তো হতে দাও প্রত্যেকটি শ্বাস বলবে ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু অানহু অামাদের...!!