★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
ফাক্বীহে বাঙ্গাল মাযহারীর চ্যালেঞ্জ মিজানুর রহমান আযহারীকে - Ja-al-haq Discussions on

ফাক্বীহে বাঙ্গাল মাযহারীর চ্যালেঞ্জ মিজানুর রহমান আযহারীকে


ফাক্বীহে বাঙ্গাল মাযহারীর চ্যালেঞ্জ মিজানুর রহমান আযহারীকে         
                 7⃣8⃣6⃣/9⃣2⃣
👉 *সারা জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ ও মহান শিক্ষক,আল্লাহর হাবীব বিশ্ব রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে,নিরক্ষর ইত্যাদি বলায় অপরাধী মিজানুর রহমান আয্হারী। তার Postmortem (পোষ্ট মার্টাম) করলেন, ফাক্বীহে বাঙ্গাল মায্হারী*। 
(পঃ বঃ, ভারত)
 👉মিজানুর রহমান আযহারী, নামে এক মওলবী তার ১ মিনিটের ভিডিও তে বিশ্ব নবী হাযরাত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে,যে সমস্ত অভযোগ এনেছে, সে গুলি হলো (ক) বিশ্ব নবী Signature (সহি) দিতে জানতেননা (খ) বিশ্ব নবীর কোনো অক্ষর জ্ঞান ছিল না। গ) তিনি ছিলেন নিরক্ষর নবী। ও (ঘ) লেখা থাকলেও এটা তিনি পড়তেও জানতেননা। ইত্যাদি ইত্যাদি।
👉 শত কোটিবার নাঊযুবিল্লাহ, শত কোটিবার নাস্তাগফিরুল্লাহ, শত কোটিবার লা হাওলা অ-লা কুওয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহিল আলিয়িল আযীম।
 👉এতে বোঝা যায় যে, শুধু রং ঢং ভালো হলেই, ঈমান-আক্বীদা ভালো হয়ে যায় না। শুধু গলা-বলা ভালো হলেই, তলা ভালো হয়ে যায় না। আর শুধু মিসর থেকে পড়ে এসে, নিজের নামের শেষে আযহারী শব্দটি লাগিয়ে দিলেই, বিদ্যা-বুদ্ধি হয়ে যায় না। বাস্তব ও মহা সত্য হলো এটাই যে, বর্তমান যুগে এ সব গুলি ভাল ও ঠিক করার, ঠিক রাখার রক্ষাকবচ হচ্ছে, আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াত তথা মাসলাকে আলা হাযরাত এর উপর অটল থাকা।
আহলে সুন্নাত ওয়া জামাতের পক্ষ থেকে আমি /আমরা মিজানুর রহমান নকল আযহারী সহ, সমস্ত ওয়াহাবী মোল্লাদেরকে বাহাস-মুনাযারার চ্যালেঞ্জ করছি। তোমাদের এই কথা গুলি বাতিল বাতিল বাতিল। আমি /আমরা কোরআন,সুন্নাহ,ইজমা ও ক্বিয়াস (আদিল্লায়ে আরবা) দ্বারা প্রমাণ করে দিব যে, বিশ্ব নবীর Signature করার ক্ষমতা ছিল। বিশ্ব নবীর অক্ষর জ্ঞান, শব্দ জ্ঞান, বাক্য জ্ঞান অবশ্যই ছিল। বিশ্ব নবী মোটেই নিরক্ষর ছিলেননা।বিশ্ব নবী পড়তেও জানতেন। পড়াতেও জানতেন শিখাতেও জানতেন। বিশ্ব নবী লিখতেও জানতেন। লিখাতেও জানতেন। বিশ্ব নবী সারা দুনিয়ার সকল মাখলুকাতের সমস্ত ভাষার সমস্ত অক্ষর, শব্দ ও বাক্য পাঠ করার, পড়ার, তার অর্থ ও ব্যাখ্যা করার ও বোঝার ও বোঝাবার সমস্ত ক্ষমতা রাখতেন। তিনি আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা বলে দ্বীন- দুনিয়ার শাহানশাহ । তাই তিনি সচরাচর লিখতেননা। সে কথা আলাদা।
 বিশ্ব নবী মোটেই নিরক্ষর ছিলেননা। তার ভুরিভুরি দলিলের মধ্যে কয়েকটি দলিল এখানে পেশ করা হচ্ছে। (1) 👉পবিত্র কোরআন 30 পারা, সূরা আল আলাক্ব প্রথম আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন - ইক্বরা অর্থাৎ -হে হাবীব আপনি পড়ুন।                 
(2) 👉পবিত্র কোরআন 27 পারা, সূরা আর রহমান আয়াত নং 1 এবং 2 এ আল্লাহ পাক বলেন, আর্ রহমান আল্লামাল কোরআন অর্থাৎ - স্বয়ং রহমান আপন হাবীবকে কোরআন শিখিয়েছেন। এতে প্রমাণ হলো যে, বিশ্ব নবী কে পড়িয়েছেন, শিখিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ। বিশ্ব নবীর শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ। আর তামাম মাখলুকাতের শিক্ষক আমার বিশ্ব নবী। এমন নবী নিরক্ষর হবেন কেমনে ? জবাব দাও।                      
(3) 👉পবিত্র কোরআন 5ম পারা, সূরা আননেসা আয়াত নং 113 তে আল্লাহ পাক বলেন,অ- আল্লামাকা মা লাম তাকুন তায়ালাম অর্থাৎ -হে হাবীব আপনি যা যা জানতেননা। আল্লাহ আপনাকে সে গুলি সব শিখিয়ে দিয়েছেন,জানিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে কি? লিখা শিখানো নাই ? জবাব দিতে হবে।                              
(4) 👉যে নবী বলেছেন, ইন্নামা বুইসতু মুআল্লিমান। অর্থাৎ -অবশ্যই আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।                
(5) 👉যে নবী বলেছেন, আল্লামানী রব্বী অর্থাৎ -আমার রব আমাকে শিখিয়েছেন।
 (6) 👉যে নবী বলেছেন, আনা মাদীনাতুল ইল্ম। অর্থাৎ -আমি জ্ঞানের শহর।
(7) 👉যে নবী বলেছেন, আনা মাদীনাতুল হিকমাতে অর্থাৎ -আমি বিজ্ঞানের নগর। (8) 👉যে নবীর উপর 30 পারা পবিত্র কোরআন নাযিল হয়। সেই নবী নিরক্ষর হয় কোন্ যুক্তিতে? 
*জবাব আছে কি?*
হুযুর আলাইহিস সালাম লিখতে জানতেন,তার কয়েকটি প্রমাণ (1) তাফসীরে রুহুল বায়ান শরীফে কোরআন শরীফের 21 পারার সূরা আল আনকাবুতের 48 নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, হুযুর লিখতে জানতেন। (2) সহী বোখারী শরীফ আরবী প্রথম খন্ডে হোদায়বিয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার বয়ানে আছে, হুযুর নিজ হাতে কলম ধরে চুক্তি নামায় দাগ দিয়েছেন। (3) সহী বোখারী শরীফ কিরতাসের হাদিসে উল্লেখ আছে যে,ইন্তেকালের পুর্বে, বৃহঃ বারের দিন সাহাবায়ে কেরামকে হুযুর বলেছিলেন যে, তোমরা আমার নিকট কাগজ নিয়ে এসো। আমি এমন কিছু লিখে দিবো। যাতে তোমরা পথ হারা হবেনা। (4)শারহে কাসিদা বুরদায়ে খারপুতীতে হাযরাত আমীরে মুয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত আছে,তিনি বলেন যে,আল্লাহর হাবীব আমাকে লিখা শিখাতেন। এ ব্যপারে আরো বিস্তারিত জানতে হলে পড়ুন 👉জাআল হক্ব ১ম খন্ড ৭৫ পৃঃ এবং 👉শানে হাবীবুর রহমান ১৪৮ পৃঃ।
আসলে মিজানুর রহমান & ওয়াহাবী মওলবী সাহেবেরা আরবী ভাষার উম্মী শব্দটির অর্থই বুঝতে পারেনি। প্রকাশ থাকে যে, পবিত্র কোরআনে ৯ম পারা, সূরা আল আরাফের ১৫৭ নং আয়াতে হুযুর আলাই হিস সালাম কে নবী ই উম্মী বলা হয়েছে। যার অর্থ -পড়া বিহীন গায়েবের সংবাদ দাতা। এর ব্যাখ্যায় এখানে তাফসীরে নুরুল ইরফানে বলা হয়েছে যে,মাতৃগর্ভ থেকেই জ্ঞান সম্পন্ন নবী। এই কারনে হুজুরের একটি উপাধি হচ্ছে -উম্মী। উম্মী শব্দের কয়েকটি অর্থ হয়। যেমন-(1) উম্মী শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো -যিনি দুনিয়াতে কারো নিকট পড়া লিখা করেননি।(2) মক্কার আদি নাম/উপাধি হলো-উম্মুল ক্বোরা। এখানে জন্ম গ্রহণ করার কারনে হুযুর আলাইহিস সালাম কে উম্মী বলা হয়। যার অর্থ -মক্কার নিবাসী /অধিবাসী। (3) আরব জাতি কে উম্মাতুল আরাব বলা হয়। এই আরব জাতির মধ্যে হুযুর আসার জন্য ,নবীকে উম্মী বলা হয়েছে। (4) উম্মুন অর্থ -মা। জন্মের পর যিনি প্রথমতঃ মায়ের দায়িত্বে থাকেন, তাঁকে উম্মী বলা হয়। অর্থাৎ -মা কর্তৃক লালিত -পালিত সন্তান। বিঃ দ্রঃ 👉যদি কোনো অভিধানে, উম্মী শব্দের অর্থ -নিরক্ষর ইত্যাদি থেকেও থাকে। তবে এটা হবে আক্ষরিক অর্থ অথবা এটা হবে অভিধানের দুর্বলতা।এই শব্দ এই অর্থে -নবী-রাসুলের জন্য ব্যবহার করা একেবারেই নাজায়েজ ও হারাম। বরং কুফরী। এ ব্যপারে আরো বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য পড়ুন 👉সিরাতুল মুস্তাফা নামক কিতাব 68পৃঃ এবং দালাইলুল খায়রাত নামক কিতাব 44 পৃঃ وللہ تعالیٰ اعلم بالصواب
আরজগুযার - *ফাক্বীহে বাঙ্গাল আলহাজ মুফতী মোঃ আলীমুদ্দিন রেজবী মাযহারী ( জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ, পঃ বঃ, ভারত)*

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|