★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
কানজুল ইমান শ্রেস্ট অনুবাদ কেন?? - Al-Quran & Hadess Discussions on

কানজুল ইমান শ্রেস্ট অনুবাদ কেন??

edited November 2017 in Al-Quran & Hadess

بسم الله الرحمن الرحيم
বিসসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অনুবাদঃ গণরা......

[১.] আরম্ভ আল্লাহ্‌র নামে, যিনি মহান দয়ালু, অতীব করুণাময়। -শাহ আব্দুল ক্বাদের।

[২.] আরম্ভ করছি আমি নাম সহকারে আল্লাহ্‌ দাতা,দয়ালুর।-শাহ রফী' উদ্দীন।

[৩.] আরম্ভ আল্লাহ্‌, অত্যন্ত দয়ালু, বারংবার দয়াকারীর নামে। -আব্দুল মাজেদ দরিয়া আবাদী দেওবন্দী।

[৪.] শুরু করছি আল্লাহ্‌র নামে, যিনি পরম করুণাময় ; অতি দয়ালু হন। -আশরাফ আলী থানভী দেওবন্দী।

[৫.] দাতা দয়ালু ইশ্বরের নামে প্রবৃত্ত হইয়াছি। -গিরিশ চন্দ্র সেন।

[৬.] আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়। - আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (রাহমাতুল্লাহি আলায়হি)।

লক্ষ্যণীয় যে, আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ব্যতীত অন্যান্য অনুবাদক ' বিসসমিল্লাহি রাহমানির রাহীম '- এর অনুবাদ এভাবে করেছেন- 'আরম্ভ করছি আল্লাহ্‌র নামে ' অথবা 'আরম্ভ আল্লাহ্‌র নাম সহকারে', 'শুরু করিতেছি আল্লাহ্‌র নামে ' ইত্যাদি। সুতারাং খোদ্ অনুবাদকের দাবী তাদের ভাষায়ই মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। কারণ, তাঁরা তো (আরম্ভ করছি) 'ক্রিয়া' দ্বারাই অনুবাদ আরম্ভ করছেন ; অথচ আল্লাহ্‌ তা'আলার নাম দ্বারা আরম্ভ করা উচিত ছিলো, যা শুধু আ'লা হযরতের অনুবাদেই পাওয়া যায়।
অন্যসব অনুবাদে এ যেন ' বিসমিল্লাহয় গলদ' !

প্রিয় সুন্নি ভাই ও বোনেরা আপনারা ক্বোর'আন তরজুমা কানযুল ইমান সংগ্রহ করুন।
কানযুল ঈমান হল বিশ্বের শেষ্ট উপহার।

আ'লা হযরত এলেমের সাগর বরিয়ে দিলেন,
এখনো উলামায়ে হক্ব পেরেশান হয়ে গেলেন।
আই আহমদ রেযা তেরি কিয়া বাত হে
এলেম কি দারিয়া বাহা দিয়া।।
.......
......

بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ,যিনি পরম দয়ালু,করুণাময়।
[পর্ব২]

ولما يعلم الله الذى جاهدوا منكم
ওয়া লাম্মা ইয়া-লামিল্লা-হুল্লাযী-না জা-হাদু মিনকুম।
[পারা ৪ - সূরা -আল্-ই ইমরান ; আয়াত-১৪২]
অনুবাদগণ

[১.] এবং এখনো জানেন নি আল্লাহ্‌ যারা তোমাদের মধ্যে যুদ্ধকারী তাদের সম্পর্কে।
--শাহ আব্দুল ক্বাদের।

[২.] অথচ এখনো খোদা তোমাদের মধ্যে জিহাদকারীদেরকে ভালবাবে জেনেই নেন নি।
--ফাতেহ্ মুহাম্মদ জালন্ধরী দেওবন্দী।

[৩.] অথচ এখনো আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্য থেকে সেসব লোককে জানেনই নি, যারা জিহাদ করেছে। --আব্দুল মাজেদ দারিয়া আবাদী দেওবন্দী।

[৪.] অথচ এখনো আল্লাহ্‌ তা'আলা সেসব লোককে দেখেনই নি, যারা তোমাদের মধ্য থেকে জিহাদ করেছে। -- আশরাফ আলী থানভী দেওবন্দী।

[৫.] এবং এখনো পর্যন্ত জেনে নেন নি আল্লাহ্‌ কারা যুদ্ধকারী তোমাদের মধ্যে। --মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী।

[৬.] অথচ আল্লাহ্‌ এখনো এটা তো দেখেনই নি যে, তোমাদের মধ্যে কারা এমন লোক রয়েছে, যারা তাঁর পথে প্রাণপণে লড়াইকারী।
--মওদূদীকৃত তাফহীমুল ক্বোর'আন।

[৭.] ও তোমাদের মধ্যে যাহারা ধর্মযুদ্ধ করিয়াছে, এবং যাঁহারা সহিষ্ণু এক্ষণ ঈশ্বর তাহাদিগের জ্ঞাত নহেত। -গিরিশ চন্দ্র সেন।

[৮.] অথচ আল্লাহ্‌ এখনো দেখেন নি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে। --মা'আরেফুল ক্বোর'আন।

[৯.] আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে কে জেহাদ করিয়াছে এবং কে ধৈর্যশীল তা এখনো জানেন না। --আল ক্বোর'আনুল করীম,অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
----------------------------------
[১০.] আর এখনো আল্লাহ্‌ তোমাদের গাযীদের (যোদ্ধাগণ) পরীক্ষা নেন নি। ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরতকৃত কানযুল ঈমান।
সুবাহান আল্লাহ্‌

আল্লাহ্‌ তা'আলা কি সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে অবহিত নন ???

আল্লাহ্‌ তা'আলা যে সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে অবগত, গোপন ও প্রকাশ্য, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা,অন্তরসমূহের গোপন কথা সমর্কেও অবহিত- তাতে কোন ঈমানদারের মনে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। কিন্তু আ'লা হযরত ব্যতীত উপরোক্ত অন্য সব অনুবাদে সে মহান সর্বজ্ঞ আল্লাহ্‌ তা'আলাকে বে-ইলম ও বে খবর (জ্ঞানহীন ও অনবহিত) ইত্যাদি সাব্যস্ত করা হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ !

আই ইমাম আহমদ রেযা
তেরি কানযুল ঈমান কি' কি বাত হে,
"দ্বাল দে ক্বলবে আযমতে মুস্তুফা,
সায়্যিদী আ'লা হযরত পে লাখো সালাম।
.....
.....
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ,যিনি পরম দয়ালু,করুণাময়।★★পর্ব-৩★★

الرحمن علم القران خلق الإنسان علمه البيان
আররাহমা-নু; আল্লামাল ক্বোরআন। খালাক্বাল ইনসা-না ;আল্লামাহুল বায়া-ন।
[পারা ২৭- সূরা আর্ রাহমান-আয়াত ১-৪]
অনুবাদকগণ

[১.] পরম দয়াময় শিক্ষা দিয়েছেন ক্বোরআন, সৃষ্টি করেছেন মানবকে এবং শিক্ষা দিয়েছেন তাকে কথা। --শাহ আব্দুল কাদের।

[২.] পরম দয়াময় শিক্ষা দিয়েছেন ক্বোরআন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে, শিক্ষা দিয়েছেন তাকে কথা বলা। --শাহ রফী'উদ্দীন।

[৩.] খোদা শিক্ষা দিলেন ক্বোরআন, সৃজন করলেন মানুষকে এবং শিক্ষা দিলেন তাকে কথা বলা। --শাহ ওয়ালী উল্লাহ।

[৪.] পরম দয়াময় খোদা-ই ক্বোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। তিনিই মানব সৃষ্টি করেছেন,তাকে কথা বলা শিখিয়েছেন। -আব্দুল মাজেদ দারিয়া আবাদী দেওবন্দী।

[৫.] পরম দয়ামময় ক্বোরআন শিক্ষা দিয়েছেন, তিনি মানব সৃজন করেছেন (অতঃপর) তাকে কথা বলা শিখিয়েছেন। -আশরাফ আলী থানভী দেওবন্দী ও ফতেহ্ মুহাম্মদ জালবন্ধরী।

[৬.] পরম দয়াময় এ ক্বোরআনের শিক্ষা দিয়েছেন, তিনিই মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি কথা বলতে শিখিয়েছেন।
--তাফহীমুল ক্বোরআন, কৃত- মওদূদী।

[৭.] করুণাময় আল্লাহ্‌ শিক্ষা দিয়েছেন ক্বোরআন, সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা। মা'আরেফুল ক্বোরআন।

[৮.] দয়াময় আল্লাহ্‌, শিক্ষা দিয়েছেন ক্বোরআন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাহাকে শিখাইয়াছেন ভাব প্রকাশ করিতে।
-আল ক্বোরআনুল করীম, অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।

[৯.] পরমেশ্বর ক্বোরআন শিক্ষা দিয়েছেন, মনুষ্যকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহাকে কথা কহিতে শিক্ষা দিয়াছেন। গিরিশ চন্দ্র সেন।
-------------------------
তরজুমা ই ক্বোরআন কানযুল ঈমান
[১০.] পরম দয়ালু(রহমান); আপন মাহবুবকে ক্বোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।মানবতার প্রান মুহাম্মদকে সৃষ্টি করেছেন: যা হয়েছে এবং যা সৃষ্টি হবে সবকিছুর সপ্রমাণ বর্ণনা তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন।-- আলা হযরত কৃত কানযুল ঈমান।

আ'লা হযরত ব্যতীত অন্যান্য অনুবাদকদের অনুবাদগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পাঠ করুন! অতঃপর আ'লা হযরতের অনুবাদ গভীরভাবে পর্যালোচনা করুন! দ্বিতীয় আয়াতে علم (আল্লামা)ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে। এটা দ্বিকর্মক ক্রিয়া। প্রথমোক্ত সমস্ত অনুবাদে উল্লেখ করা হয় (পরম দয়াময় ক্বোরআন শিক্ষা দিয়েছেন)। ওই সব অনুবাদক একটা মাত্র 'কর্ম' উল্লেখ করেছেন (ক্বোরআন। এখন প্রশ্ন জাগে ক্বোরআন কাকে শিক্ষা দিয়েছেন ? ’ এটা তারা উল্লেখ করেন নি। কিন্তু আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন(রাহমাতুল্লাহি আলায়হি) তা প্রাকাশ করে দিয়েছেন।' এ মর্মে ক্বোরআনের অপর আয়াত সাক্ষ্য দেয়--
" আল্লামাকা মা-লাম তাকুন তা'লাম"
অর্থাৎ তিনি (আল্লাহ্‌) , হে হাবীব! আপনাকে তা শিক্ষা দিয়েছেন যা আপনি জানতেন না। "

তৃতীয় আয়াতের অনুবাদ হচ্ছে- 'মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।' ওই মানুষটি কে ? অনুবাদকগণ শব্দগত অনুবাদ পেশ করে ক্ষান্ত হলেন। কোন কোন অনুনবাদক আবার এখানে নিজ থেকেও শব্দাবলী ব্যবহার করেছেন। তবুও 'ইনসান' শব্দের যথার্থ অর্থ প্রকাশ পায়নি। এখন আপনি ওই মহা মর্যাদাবান সত্তা (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-এর কথা স্মরণ করুন, যিমি সমস্ত সৃষ্টির উৎস-মূল; যাঁর হাক্বিকত সমস্ত হাক্বীকতেরই মূলবস্তু ; যাঁর উপরই সৃষ্টির বুনিয়াদ রাখা হয়েছে, যিনি সৃষ্টির শুরু, কাইনাতের প্রাণ ও ইনসানিয়াতের জান। আ'লা হযরত (রাহমাতুল্লাহি আলায়হি) বলেন --'ইনসানিয়াতের প্রাণ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-কে সৃষ্টি করেছেন। ' (আল ইনসান) মানে যখন হুযুর সরওয়ার-ই কাওনাঈন সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর মহান সত্তাই নির্দিষ্ট হয়ে গেলো, তখন তাঁরই শানের উপযোগী আল্লাহ্‌ তা'আলার পক্ষ থেকে শিক্ষাদানও হওয়া চাই। সুতরাং সাধারণ অনুবাদকেদের সীমিত জ্ঞানগণ্ডীকে অতিক্রম করে আ'লা হযরত বলেন--"মা-কা-না ওয়া-মা ইয়াকুন"
(পূ্র্ব ও পরবর্তী সমস্ত সৃষ্টি)'র বিশদ বর্ণন তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। "

যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আয়াতের অনুবাদে
"মা-কা-না ওয়া-মা ইয়াকুন"
(পূর্ব ও পরবর্তী সৃষ্টি)--এর বর্ণনা শিক্ষা দেওয়া' কোথেকে আসলো? এখানে তো শুধু কথা বলা শিখানোই বাহ্যিকভাবে প্রতীয়মান হয়? অথবা এভাবে বলা যায়--'ক্বোরআনের জ্ঞান' দ্বিতীয় আয়াতে প্রকাশ পেলে চতুর্থ আয়াতে তো বর্ণনা শিক্ষা'-ই উদ্দেশ্য হয়?

এর জবাব যে, "মা-কা-না'ওয়া-মা ইয়াকুন"
(যা কিছু হয়েছেন ও যা কিছু ক্বিয়ামত পর্যন্ত হবে)-এর জ্ঞান রয়েছে 'লওহ্-ই মাহ্ফুয'-এ, আর 'লুওহ্-ই মাহ্ফুয' হচ্ছে ক্বোরআন শরীফের একটা অংশের মধ্যে। আর আল্লাহ্‌ তা'আলা আপন মাহবুবকে ক্বোরআনের বর্ণনা শিক্ষা দিয়েছেন, যার মধ্যে "মা-কা-না'ওয়া মা ইয়াকুন"
'পূর্ব ও পরবর্তী সমস্ত কিছুর'র বর্ণনা শামিল রয়েছে।

সুতরাং আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (রহমাতুল্লা আলাইহি) এর অনুবাদই হচ্ছে বিশুদ্ধ তাফসীরসম্মত অনুবাদ।।
Tagged:

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|