★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
শবে বরআত প্রসংগে ভ্রান্ত আক্বীদা ওবাতিল দের শইতান দের জবাব হাদিস এর আলোকে।।। - Mas'la Masayel Discussions on

শবে বরআত প্রসংগে ভ্রান্ত আক্বীদা ওবাতিল দের শইতান দের জবাব হাদিস এর আলোকে।।।

edited February 2016 in Mas'la Masayel
শবে বরআতের রাতে ইবাদাত করলে আল্লাহ
পাক মানুষের গুনাহ মাফ করে দিবেন.শয়তান
কোনভাবেই মেনে নিতে রাজি নয়. তাই কিছু
লেবাছী মার্কা মৌলভী শবে বরআতের
বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে .এগুলো দেখতে
লেবাসে আলেম হলেও মুলত ইহুদী আর
শয়তানের দল. কারণ শয়তানের কাজ মানুষকে
আল্লাহর ইবাদাত হতে বঞ্চিত রাখা. তাই
আসুন ওদের বর্জন করি. আর ওদের মুখোশ খুলে
দেই সবাইকে নামাজের দাওয়াত দেই।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++
শবে বরআত নিয়ে বাতিল ৭২ ফিরকা
পন্থীদের কতগুলো ভ্রান্ত আক্বীদা রয়েছে।
সেগুলো হলোঃ
১.শবে বরআত কুরআন শরীফ ও সিহাহ সিত্তাহ
হাদীছ শরীফ এ উল্লেখ নেই?
২. উপমহাদেশের বাইরে কেউ পালন করে না ।
যেমনঃ সৌদি আরব?
৩. শবে বরআত পালন করা বিদায়াত?
এখন আমরা এই ভ্রান্ত আক্বীদাগুলোর
উত্তরের চেষ্টা করব।
১.শবে বরআত কুরআন শরীফ ও সিহাহ সিত্তাহ
হাদীছ শরীফ এ উল্লেখ নেইঃ
শবে বরআত শব্দ দু’টি যেরূপ কুরআন ও হাদীছ
শরীফের কোথাও নেই তদ্রূপ নামায, রোযা ,
খোদা , ফেরেশতা, পীর ইত্যাদি শব্দ কুরআন
ও হাদীছ শরীফের কোথাও নেই। এখন শবে
বরাত বিরোধী লোকেরা কি নামায, রোযা
ইত্যাদি শব্দ কুরআন ও হাদীছ শরীফে না
থাকার কারনে ছেড়ে দিবে? মূলত শবে বরাত,
নামায, রোযা ,খোদা ,ফেরেশতা , পীর
ইত্যাদি ফার্সী ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত।
ফার্সী শব অর্থ রাত্রি এবং বরআত অর্থ
ভাগ্য বা মুক্তি। সুতরাং শবে বরাত মানে হল
ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।
মূলতঃ শবে বরাত এবং এর ফযীলত কুরআন
শরীফে আয়াত শরীফ এবং অসংখ্য হাদীছ
শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। কুরআন শরীফে শবে
বরাতকে লাইলাতুম মুবারাকাহ বা বরকতময়
রাতহিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর
হাদীস শরীফে শবে বরাতকে লাইলাতুন
নিছফি মিন শা’বান বা শা’বান মাসের মধ্য
রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ এ
ইরশাদ করেন, ” শপথ প্রকাশ্য কিতাবের!
নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ
নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী।
আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে
প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়সালা হয়।
আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা
দু’খানঃ ২-৫)
কেউ কেউ বলে থাকে যে, “সূরা দু’খানের
উল্লেখিত আয়াত শরীফ দ্বারা শবে ক্বদর-
কে বুঝানো হয়েছে। কেননা উক্ত আয়াত
শরীফ এ সুস্পষ্টই উল্লেখ আছে যে, নিশ্চয়ই
আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল
করেছি……..। আর কুরআন শরীফ যে ক্বদরের
রাতে নাযিল করা হয়েছে তা সূরা ক্বদরেও
উল্লেখ আছে ।”
এ প্রসঙ্গে মুফাসসির কুল শিরোমণি রঈসুল
মুফাসসিরীন বিশিষ্ট সাহাবী হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ করেন,
” মহান আল্লাহ পাক লাইলাতুম মুবারাকাহ
বলতে শা’বান মাসের মধ্য রাত বা শবে
বরাতকে বুঝিয়েছেন। আল্লাহ পাক এ রাতে
প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলোর ফায়সালা করে
থাকেন।” (ছফওয়াতুত তাফাসীর, তাফসীরে
খাযীন ৪র্থ খন্ডঃ ১১২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে ইবনে
আব্বাস,তাফসীরে মাযহারী ৮ম খন্ডঃ ৩৬৮
পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাযহারী ১০ম খন্ড,
তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে খাযিন,
বাগবী, কুরতুবী, কবীর, রুহুল বয়ান, আবী সাউদ,
বাইযাবী, দূররে মানছূর, জালালাইন,
কামলালাইন, তাবারী, লুবাব, নাযমুদ দুরার,
মাদারিক)
লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরআতকে
বুঝানো হয়েছে তার যথার্থ প্রমাণ সূরা
দু’খানের ৪ নম্বর আয়াত শরীফ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ
ﺣَﻜِﻴﻢٍ । এই আয়াত শরীফের ﻳُﻔْﺮَﻕُ শব্দের অর্থ
ফায়সালা করা।প্রায় সমস্ত তাফসীরে সকল
মুফাসসিরীনে কিরামগণ ﻳُﻔْﺮَﻕُ (ইয়ুফরাকু)
শব্দের তাফসীর করেছেন ইয়ুকতাবু অর্থাৎ
লেখা হয়, ইয়ুফাছছিলু অর্থাৎ ফায়সালা করা
হয়, ইয়ুতাজাও ওয়াযূ অর্থাৎ বন্টন বা
নির্ধারণ করা হয়, ইয়ুবাররেমু অর্থাৎ বাজেট
করা হয়, ইয়ুকদ্বিয়ু অর্থাৎ নির্দেশনা দেওয়া
হয়
কাজেই ইয়ুফরাকু -র অর্থ ও তার ব্যাখার
মাধ্যমে আরো স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় যে,
লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরাত বা
ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে। যেই
রাত্রিতে সমস্ত মাখলুকাতের ভাগ্যগুলো
সামনের এক বছরের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়,
আর সেই ভাগ্যলিপি অনুসারে রমাদ্বান
মাসের লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদরে তা
চালু হয়। এজন্য শবে বরআতকে লাইলাতুত্
তাজবীজ অর্থাৎ ফায়সালার রাত্র এবং শবে
ক্বদরকে লাইলাতুল তানফীযঅর্থাৎ
নির্ধারিত ফায়সালার কার্যকরী করার রাত্র
বলা হয়। (তাফসীরে মাযহারী,তাফসীরে
খাযীন,তাফসীরে ইবনে কাছীর,বাগবী,
কুরতুবী,রুহুল বয়ান,লুবাব)
সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সুরা
দু’খান-এ বলেছেন, “আমি বরকতময় রজনীতে
কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর
ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল “ আমি বরকতময় রজনীতে
কুরআন শরীফ নাযিলের ফায়সালা করেছি “।
আর সুরা ক্বদর-এ ” আমি ক্বদরের রজনীতে
কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যা
মূলক অর্থ হল ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন
শরীফ নাযিল করেছি “।
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি শবে
বরআতে কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত
নেন এবং শবে ক্বদরে তা নাযিল করেন।
হাদীছ শরীফ এ শবে বরাতে সমর্থন পাওয়া
যায়। হাদীছে শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হযরত
আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম থেকে
বর্ণিত আছে। একদা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে হযরত
আয়িশা ছিদ্দীক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা
আনহা ! আপনি কি জানেন, লাইলাতুন নিছফি
মিন শা’বান বা শবে বরাতে কি সংঘটিত হয়?
তিনি বললেন, হে রাসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম !এ রাত্রিতে কি কি
সংঘটিত হয়? নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেন, এ রাতে আগামী এক বছরে
কতজন সন্তান জম্মগ্রহণ করবে এবং কতজন
লোক মৃত্যূবরণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়।
আর এ রাতে বান্দার (এক বছরের) আমলসমূহ
আল্লাহ পাকের নিকট পেশ করা হয় এবং এ
রাতে বান্দার (এক বছরের) রিযিকের
ফায়সালা হয়”। (বাইহাক্বী, ইবনে মাজাহ্,
মিশকাত শরীফ)
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হযরত
আয়িশা ছিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা
আনহা থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,
একদা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের সাথে কোন এক রাত্রিতে
রাতযাপন করছিলাম। এক সময় তাঁকে
বিছানায় না পেয়ে আমি মনে করলাম যে,
তিনি হয়ত অন্য কোন আহলিয়া আলাইহিমাস
সালামের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন।
অতঃপর আমি তালাশ করে তাঁকে জান্নাতুল
বাক্বীতে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের
জন্য আল্লাহ পা্কের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা
শরীফ এ ফিরে এলে তিনিও ফিরে এলেন
এবং বললেনঃ আপনি কি মনে করেন আল্লাহ
পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার সাথে
আমানতের খিয়ানত করেছেন? আমি বললামঃ
ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আমি ধারনা করেছিলাম যে, আপনি
হয়তো আপনার অন্য কোন আহলিয়া
আলাইহিমাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ
তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক শা’বানের ১৫ তারিখ
রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন
অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর
তিনি বণী কালবের মেষের গায়ে যত পশম
রয়েছে তার চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাকে
ক্ষমা করে থাকেন”। (বুখারী শরীফ,
তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ, রযীন, মিশকাত
শরীফ)
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, ” হযরত
আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই
আল্লাহ পাক শা’বান মাসের ১৫ তারিখ
রাত্রিতে ঘোষনা করেন যে, উনার সমস্ত
মাখলুকাতকে ক্ষমা করে দিবেন। শুধু মুশরিক
ও হিংসা-বিদ্বেষকারী ব্যতীত।” (ইবনে
মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত শরীফ)
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হযরত
আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে
বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে
সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং
দিনের বেলায় রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই
আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের
সময় পৃথিবীর আকাশে রহমতে খাছ নাযিল
করেন। অতঃপর ঘোষাণা করতে থাকেন, কোন
ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি ক্ষমা
করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী
আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব।
কোন মুছিবগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি
তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে সুবহে
ছাদিক পর্যন্ত ঘোষাণা করতে
থাকেন” (ইবনে মাযাহ্,মিশকাত শরীফ,
মিরকাত শরীফ)
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে,“রাসুলে
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, যে ব্যক্তি শা’বানের মধ্য রাতে (শবে
বরআত) ইবাদত করবে তারই জন্য সুসংবাদ এবং
তার জন্য সমস্ত কল্যাণ”
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে এবং অর্ধ
শা’বানের রাত তথা শবে বরআতের রাতে
জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, সে ব্যক্তির
অন্তর ঐদিন মরবে না বা পেরেশান হবে না
যে দিন সকলের অন্তর পেরেশান থাকবে“।
(মুকাশাফাতুল কুলুব)
শবে বরাত এর রাতে দোয়া কবুল প্রসঙ্গে
হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, “নবী পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
পাঁচটি রাত এমন রয়েছে যেগুলোতে দোয়া
করলে তা রদ বা বাতিল হয়না । (১) পহেলা
রজবের রাত (২) শা’বানের মধ্য রাত তথা শবে
বরাত (৩) জুমুয়ার রাত (৪) পবিত্র ঈদুল
ফিতরের রাত (৫) পবিত্র ঈদুল আযহার রাত“।
(দায়লামী শরীফ)
শবে বরআত এর রাতে দোয়া কবুল প্রসঙ্গে
হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, “হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
নিশ্চয়ই দোয়া বা মুনাজাত পাঁচটি রাতে
কবুল হয়ে থাকে । (১) পহেলা রজবের রাত (২)
শা’বানের মধ্য রাত তথা শবে বরাত (৩)
ক্বদরের রাত (৪) পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত
(৫) পবিত্র ঈদুল আযহার রাত (মা ছাবাত বিস্
সুন্নাহ, গুনইয়াতুত্ ত্বালিবীন, মুকাশাফাতুল
কুলুব)
সুতরাং কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফের
উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা অকাট্যভাবেই
প্রমাণিত যে, শবে বরআত কুরআন শরীফ ও
হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
২. উপমহাদেশের বাইরে কেউ পালন করে
নাঃ
শরীয়তের কোথাও ইসলামী দলীল হিসেবে
অঞ্চল, এলাকা, দেশ উল্লেখ করা হয়নি।
শরীয়তের দলীল হচ্ছে কুরআন শরীফ, হাদীছ
শরীফ, ইজমা, কিয়াস। কোন দেশ পালন করলো
কিংবা করলো না তা দলীল হতে পারে না।
এখন সৌদি আরবের কোন মুসলমান যদি মদ
পান করে তাহলে কি সকলকে মদ পান করতে
হবে?
৩. শবে বরআত পালন করা বিদায়াতঃ
অনেকে উপরে উল্লেখিত শবে বরাত
সম্পর্কিত কিছু হাদীসকে জয়ীফ বলে শবে
বরআতকে বিদায়ত বলে থাকেন। জয়ীফ
হাদীছের ব্যাপারে নীচে আলোচনা করা
হলঃ
জয়ীফ হাদীছঃ
যে হাদীছের রাবী হাসান হাদীছের রাবীর
গুণ সম্পন্ন নন তাকে জয়ীফ হাদীস বলা হয়।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কোন কথাই জয়ীফ নয় বরং রাবীর দুর্বলতার
কারণে হাদীছকে জয়ীফ বলা হয়।
জয়ীফ হাদীসের দুর্বলতার কম বা বেশী হতে
পারে। কম দুর্বলতা হাসানের নিকটবর্ত্তী
আর বেশি হতে হতে মওজুতে পরিণত হতে
পারে। এ ধরনের হাদীছ আমলে উৎসাহিত
করার জন্য বর্ণনা করা যেতে পররে বা করা
উচিৎ। তবে আইন প্রণয়নে গ্রহনযোগ্য নয়।
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ইবনে হুমাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “জয়ীফ হাদীছ
যা মওজু নয় তা ফজিলতের আমল সমূহে
গ্রহণযোগ্য” (ফতহুল ক্বাদীর)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফক্বিহ হযরত মোল্লা
আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
“সকলেই একমত যে জয়ীফ হাদীছ ফজিলত
হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ
আছে।” (আল মওজুআতুল কবীর, ১০৮ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হল যে,
জয়ীফ হাদীছ ফজিলত হাসিল করার জন্য
আমল করা জায়েজ আছে। তবে দ্বয়ীফ হাদীছ
দ্বারা সাব্যস্ত সকল আমল মুস্তাহাব।
যেমনঃ আল্লামা ইব্রাহিম হালবী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর গুলিয়াতুল
মুস্তামালী ফি শরহে মুনিয়াতুল মুছাল্লি
কিতাবে উল্লেখ করেছেন, “গোসলের পরে
রূমাল (কাপড়) দিয়ে শরীর মোছা মুস্তাহাব।
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম
উনার থেকে বর্ণিত আছে – আল্লাহ পাকের
হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের এক টুকরা কাপড় (রূমাল) ছিল যা
দিয়ে তিনি অযুর পরে শরীর মুবারক
মুছতেন” (তিরমিযি শরীফ)
এটা জয়ীফ হাদীছ। কিন্তু ফজিলত হাসিল
করার জন্য আমল করা যাবে।
হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি তাঁর আল মওজুআতুল কবীরের ১০৮
পৃষ্ঠায় বলেন, “সকলে একমত যে জয়ীফ হাদীছ
ফজিলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ
আছে। এজন্য আমাদের আইম্মায়ি কিরামগণ
বলেছেন, অযুর মধ্যে গর্দান মসেহ্ করা
মুস্তাহাব।”
তার মানে অযুর মধ্যে গর্দান মসেহ্ করা -এটি
জয়ীফ হাদীছ।
সুতরাং যারা শবে বরআতের হাদীস
সংক্রান্ত কিছু দলিলকে জয়ীফ হাদীছ বলে
শবে বরআত পালন করা বিদায়াত বলে তাদের
এধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভূল।

মানুন
না
মানুন
আপনার
ব্যাপার ,
তবে
মোরতে তো
এক দিন
হবেই!
তখন টের পাবেন। image

:-c Share & Like :-bd
শবে বরআত প্রসংগে ভ্রান্ত আক্বীদা ওবাতিল দের শইতান দের জবাব হাদিস এর আলোকে।।। http://yanabi.in/u/w

Comments

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|