শাবে ক্বদর খুবই বরকতমন্ডিত রজনী। এটা রমযান মাসের শেষ দশকে হয়ে থাকে। এই রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাত সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহা ইরশাদ করেন যে,হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শাবে কদরকে রমযানের শেষ দশকে অন্বেষণ কর।(বোখারী শরীফ ১ ম খন্ড ৬০ পৃঃ হাদিস নং ৩৪-৩৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, বিজোড় রাত গুলিতে শাবে ক্বদর অন্বেষণ করো।
অধিকাংশ মুফাস্সির ও বুযর্গরা বলেছেন, রমযানের ২৭তারিখের রাতই শাবে ক্বদর রাত।
শাবে ক্বদরের নফল ইবাদত
হযরত সাইয়েদুনা ইসমাইল হাক্বী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, শাবে কদরের রাত্রীতে যে ইখলাসে নিয়াতের সহিত নফল আদায় করবে তার পূর্বের ও পরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।'(তাফসীরে রুহুল বায়ান ১০ম খন্ড ৪৮০ পৃঃ)
১. যে ব্যক্তি দুই রাকায়াত নামায পড়বে, সুরা ফাতিহার পর প্রত্যেক রাকায়াতে একবার সুরা কদর, তিনবার সুরা ইখলাস পড়বে,সে ব্যক্তি শবে কদরের সাওয়াব অর্জন করবে। সে ব্যক্তিকে হযরত শুইয়াব আলাইহিস সালাম, হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম এবং হযরত নুহ আলাইহিস সালাম-এর ন্যায় সাওয়াব দেওয়া হবে। তাকে পূর্ব-পশ্চিম সমান দূরত্বের একটি জান্নাতী শহর দেওয়া হবে।(ফাযায়েলুল আইয়াম ওয়াশ শুহর ৪৪১-৪৪২পৃঃ)
২. হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শাবে ক্বদরে দুরাকায়াত নামায পড়বে, প্রত্যেক রাকায়াতে সুরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস সাতবার পড়বে এবং নামায শেষে, ‘আসতাগফিরুল্লাহ আজীম আল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল কায়্যুম ওয়া আতু-বু ইলাইহি’ সত্তর বার পড়বে, তখন এই নামাযী মুসল্লা থেকে উঠার আগেই তার এবং তার মাতা পিতার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (তাফসীরে ইয়াকুব সরখী)
৩. যে ব্যক্তি রমযানের সাতাশ তারিখ রাতে চার রাকায়াত নফল নামায পড়বে, প্রত্যেক রাকায়াতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ক্বদর তিন বার এবং সুরা ইখলাস সাতাশবার করে পড়বে, সে লোক সদ্য প্রসূত শিশুর ন্যায় হয়ে যাবে এবং তার জন্য জান্নাতে এক হাজার প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে।
نَوَيْتُ أَنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَيْ صَلوةِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ مُتَوَجِّهًا إلى جهةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ:-নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাআতাই সালাতি লাইলাতিল ক্বাদরি মুতাওয়া জ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।